চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণ আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এবং তা চলবে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে জমা দেয়ার তারিখ, ফি’র হার ও নিয়মাবলী উল্লেখ করে রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তথ্য সম্বলিত সম্ভাব্য তালিকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ১০ এপ্রিল দেয়া হবে। এই তালিকা থেকে উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় ফরম পূরণ করতে হবে। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে পারবে। আগামী ১৯ মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশনচার্জ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেয়া যাবে না।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাবদ বোর্ড ফি ১ হাজার ১৭৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৪০ টাকাসহ মোট ফি ১ হাজার ৬১৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষায় বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪১০ টাকাসহ মোট ১ হাজার ৪৯৫ টাকা ও মানবিকে ১ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৭-২০১৮ সেশনের রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক এক থেকে চার বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ জন্য ব্যবহারিক ছাড়া ৩৫০ টাকা আর ব্যবহারিকসহ ৪০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস (পাঠ্যসূচি) অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীরা (নিয়মিত ও অনিয়মিত) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। সব শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও ক্যারিয়ার এডুকেশন বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নৈর্বাচনিক সব বিষয়ে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং জিপিএ ৫-এর কম পেয়েছে এমন পরীক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকলে ২০২২ সালের পরীক্ষায় জিপিএ উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাদেরকে সব বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ পরীক্ষায় জিপিএ উন্নয়ন হলে তা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় আগের ফলাফল বহাল থাকবে। জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীকে পূর্বের পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের সত্যায়িত ফটোকপি প্রিন্ট কপির সাথে জমা দিতে হবে।
২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ সেশনের রেজিস্ট্রেশন করা পরীক্ষার্থীরা ২০২০ ও ২০২১ সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে থাকলে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিলে চতুর্থ বিষয়ের সুবিধা পাবে এবং ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ সেশনের পরীক্ষার্থী যারা ২০২০ ও ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সকল বিষয়ে অংশগ্রহণ করে ৪র্থ বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ১ থেকে ৪ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পূর্বের অকৃতকার্য বিষয়সমূহে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলে তারা ৪র্থ বিষয়ের সুবিধা পাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।