ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আহত ব্যক্তিদের সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোবরার ভোরে সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ড ও আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আহত ব্যক্তিদের সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোবরার ভোরে সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ড ও আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
সাভারে নিহত মো. মেহেদী হাসান পারভেজ (২৮) ক্যাপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াইপি আশুলিয়া লিমিটেডের জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সাভারের রাজাশন এলাকার বাসিন্দা। আশুলিয়ায় নিহত রাসেল শেখ (৩৫) আশুলিয়ার ইয়ারপুরের বাগবাড়ি এলাকায় থাকেন। তিনি ধামরাইয়ের গ্লোরিয়াস ড্রেসেস নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ক্যাপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াইপি আশুলিয়া লিমিটেডের উৎপাদন নির্বাহী মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে রাজাশনের বাসা থেকে বের হয়ে মেহেদী হাসান সাভারের অন্ধ মার্কেটের সামনে থেকে অফিসের মাইক্রোবাসে ওঠেন। মাইক্রোবাসটি আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ওয়াইপি আশুলিয়া লিমিটেডের অপর একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সাকো লিমিটেডে আসতে পাকিজার সামনে ইউটার্ন নিতে অপেক্ষা করছিল। এ সময় পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি পরিবহন মাইক্রোবাসটির পেছনের অংশে সজোরে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি ঘুরে মূল সড়কে উঠে যায়। এ সময় ঢাকার দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান মাইক্রোবাসটি চাপা দেয়। এতে মেহেদী হাসান মাইক্রোবাস থেকে সড়কে ছিটকে পড়েন। পরে তাঁকেসহ চালক লিয়াকত হোসেন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক (এইচআর ম্যানেজার) ফখরুল আহসানকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেদী হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।